জন্ম নিবন্ধন হলো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৯ নং আইন) এর আওতায় একজন মানুষের নাম, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ ও স্থান, বাবা-মায়ের নাম, তাদের জাতীয়তা এবং স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্টারে লেখা বা কম্পিউটারে এন্ট্রি প্রদান এবং জন্ম সনদ প্রদান করা।
ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাঁর পরিচিতি ও বয়স নির্ধারণের জন্য এবং রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য জন্ম নিবন্ধন জরুরী। ব্যক্তির চিকিৎসা সেবা গ্রহণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিবাহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রকৃত বয়স জানা অপরিহার্য, আর এই অপরিহার্যতা মিটাতেই প্রয়োজন জন্মের সঙ্গে সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্নকরণ।
৩১ ডিসেম্বর ২০০৮ এর পর থেকে নিম্নোক্ত সেবাসমূহ পেতে হলে একজন নাগরিককে তাঁর জন্ম সনদ দেখানোর আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে:
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনমূলে:
(ক) পাসপোট ইস্যু;
(খ) বিবাহ নিবন্ধন;
(গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্ত্তি;
(ঘ) সরকারী, বেসরকারী বা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় নিয়োগদান;
(ঙ) ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু;
(চ) ভোটার তালিকা প্রণয়ন;
(ছ) জমি রেজিস্ট্রেশন;
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালাসমূহমূলে:
(জ) ব্যাংক হিসাব খোলা;
(ঝ) আমদানী ও রপ্তানী লাইসেন্স প্রাপ্তি;
(ঞ) গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি;
(ট) ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি;
(ঠ) ঠিকাদারী লাইসেন্স প্রাপ্তি;
(ড) বাড়ির নক্সার অনুমোদন প্রাপ্তি;
(ঢ) গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তি;
(ণ) ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও
(ত) জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS