সাধারণ প্রজনন হচ্ছে গাভী দিয়ে ও ষার দিয়ে যে প্রজনন হয় তা হ'লো সাধারণ প্রজনন। আর কৃত্রিম প্রজনন হলো স্বাভাবিক প্রজননের বাইরে উন্নত প্রজাতির বীজ যেটা একটা স্ট্রোর এর মধ্যে রাখা হয় এবং সেই বীজ হাট দিয়ে গাভীর ভিতের ঢুকিয়ে দেওয়া হয় একে বলা হয় কৃত্রিম প্রজনন। উন্নত জাতের বিদেশী ষারের বীজ আমাদের দেশী গাভীর ভিতর দিলে যে বাছুর হয় তাকে বলে উন্নত সংকর বাছুর এবং উন্নত জাতের বাছুর হওয়া মানেই উন্নত জাতের গাভী। ফলে দুধ বেশী করে দেয় এবং বাছুরের গুণগতমান ঠিক থাকে। দেশী গাভীর দুধ যেখানে ১ লিটার করে দিত সেখানে সংকর জাতের গাভীর দুধ ১৫-১৬ লিটার করে দেয়। প্রাণি সম্পদ অফিসে কৃত্রিম প্রনজনন কর্মী আছে। যে কোন ব্যক্তি গাভী হাসপাতালে নিয়ে আসলে তিনি তা সরকার নির্ধারিত মূল্যে করিয়ে নিতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে উন্নত জাতের বকনা বা গাভী পেতে পারেন। এইভাবে আমাদের দেশের দুধের চাহিদা মিটে যাবে আশাকরি। এছাড়াও দেশী গাভীদের খড় ও ঘাস না খাইয়ে বিভিন্ন জাতের ঘাস আছে যেমন: লিপিয়ার, পারা, জুয়া, ভূট্রা, ইপিল ইপিল, মাসকালায়, খেসারি এগুলোতে অনেক প্রোটিন থাকে। এই ঘাস গুলি যদি আপনারা চাষ করেন যে গুলি প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে আর দুধের চাহিদা পূরণ করবে। এই ঘাস লাগানোর জন্য যে কোন জায়গাতেই হয় যেমন: কবর স্থানের জায়গা প্রতি বছর গাভীকে খাওয়ালে গাভীর প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয় এবং গাভীও আমাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। এভাবে সংকর বা কৃত্রিম প্রজননের সুবিধা ভোগ করতে পারা যায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস